জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বিশ্বমানের ডিজিটাল লাইব্রেরি করার ঘোষণা দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর। একই সঙ্গে মুসল্লি কমিটির সঙ্গে বসে পর্যায়ক্রমে মসজিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
সম্প্রতি বসুন্ধরায় নিজ বাসভবনে মুসল্লি কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন। এ বছর ১০০ সামর্থ্যহীন মানুষকে ওমরাহ হজে পাঠানোর কথাও জানান তিনি। সভায় একমাত্র ছেলে আহমেদ ওয়ালিদ সোবহানকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আমার কাছে আজ পর্যন্ত মসজিদ-মাদরাসার জন্য কেউ এসে খালি হাতে ফিরে যায়নি। ইনশা আল্লাহ আগামীতেও যাবে না। বায়তুল মোকাররমে ইফতার দেওয়ার জন্য এবারই প্রথম মুসল্লি কমিটি আমার কাছে আসে। যতটুকু পেরেছি, করেছি। যত দিন বেঁচে থাকব, ইনশা আল্লাহ রমজান মাসে ইফতারের ব্যবস্থা করব। আমার ছেলেকে আজ ডেকে এনেছি, যাতে আমার অবর্তমানে সে এটা বহাল রাখে।’ এর আগে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমামগণ ও মুসল্লি কমিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন। জাতীয় মসজিদে একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইসলামিক লাইব্রেরি স্থাপনের দাবি ওঠে সভায়। বক্তারা বায়তুল মোকাররমের জেনারেটর, সাউন্ড সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, অজুখানার সমস্যাসহ নানা সংকট তুলে ধরেন। জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক, মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেম, মুফতি মাওলানা মহিবুল্লাহিল বাকী, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরার মহাপরিচালক মুফতি আরশাদ রহমানী, প্রধান মুফতি এনামুল হক, জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সহসভাপতি ও আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী গুলজার আহম্মেদ, মুসল্লি কমিটির উপদেষ্টা মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক খান, নিপ্পন গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মহব্বত উল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আসগর টগর, জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল খালেক মোল্লা প্রমুখ।
মুসল্লিদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুমতি দিলে বায়তুল মোকাররমে বিশ্বমানের শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইসলামিক লাইব্রেরি করতে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন আমি করব। এজন্য কাউকে একটা টাকাও খরচ করতে হবে না। এ ছাড়া অন্য যেসব সমস্যার কথা বলেছেন, আমি সবার সঙ্গে বসে একটা একটা করে সমাধান করব। যেহেতু এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব। দেশের জাতীয় মসজিদের এমন অবস্থা থাকলে হবে না। জাতীয় মসজিদ থাকবে সুন্দর, যা দেখলেই মনটা ভরে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘বায়তুল মোকাররমের সঙ্গে আমি নতুন করে সংযুক্ত নই। আমাদের নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে প্রতি শুক্রবার জুমার খুতবা লাইভ সম্প্রচার করি।’
বঙ্গবন্ধুর নামে ডিজিটাল লাইব্রেরি নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণায় বসুন্ধরা এমডিকে ধন্যবাদ জানান মুসল্লিরা। এ সময় সায়েম সোবহান আনভীর ও তাঁর পরিবারের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘বায়তুল মোকাররম ষাটের দশকের মসজিদ। আগে ৩০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারত। এখন সক্ষমতা ৪০ হাজার করা হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে জাতীয় মসজিদ ঘোষণা করেন। মসজিদটির জন্য অনেক বাজেট থাকলেও আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয় না। অন্য দেশ থেকেও মুসল্লিরা এখানে এসে নামাজ পড়েন। কিন্তু মসজিদটির সে অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি। এজন্য আমরা মুসল্লি কমিটি করেছি। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উপদেষ্টা হওয়ার আমন্ত্রণ জানাতেই তিনি রাজি হয়ে যান। সব ধরনের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক আশ্বাসের বাস্তবায়ন পেয়েছি।’
জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মহিবুল্লাহিল বাকী বলেন, ‘রসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করে না সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ৩০ বছর আগে বসুন্ধরায় গড়ে উঠেছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ। আজ আমরা তাঁর ছেলের সঙ্গে বসেছি জাতীয় মসজিদের সংস্কার নিয়ে। মুসল্লি পরিষদ এমন একজন ব্যক্তির ছেলেকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করায় খুবই ভালো হয়েছে। সব সমিতিতে পার্থিব লাভের বিষয় আছে। জাতীয় মসজিদের মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় ত্যাগ ও বিসর্জন ছাড়া কিছু নেই। বিসর্জন দেওয়ার মানসিকতা নিয়েই তিনি এসেছেন। আল্লাহ তাঁর নেক বাসনা পূরণ করুন।’
পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের একটা অংশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম। আমরা দুনিয়ায় যে ভালো কাজগুলো করব পরকালে আল্লাহ তার পুরস্কার দেবেন। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশে-বিদেশে সব জায়গায় ধর্মীয় কাজে যে সহযোগিতা করে আসছে, দোয়া করি আল্লাহ যেন এ কাজের উত্তম প্রতিদান দেন।’
পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেম বলেন, ‘মসজিদ শুধু নামাজের জন্যই নয়, প্রতিটি মসজিদ হবে নামাজ ও আমলের কেন্দ্র। আমরা মসজিদে নববি দেখেছি। সেখানে নামাজ হয়, পাঠাগার আছে, মাদরাসা আছে। দীনি একটা পরিবেশ সেখানে আছে। সেখানে নামাজ পড়তে এসে দীনি জ্ঞান অর্জন করা যায়। বায়তুল মোকাররমেও এমন পরিবেশ সৃষ্টি হোক।’
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনকুড়িগ্রামে চর আলোকিত করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল
Bashundhara Shuvosangho School Spreading Light of Education in Kurigram Shoal
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সুদমুক্ত ঋণ পেলো ৩০৮ জন নারী
Bashundhara Foundation Provides Interest-Free Loans to 308 Women
বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ
Saplings Distribute Among Bashundhara Shuvosangho Members
পটুয়াখালীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ
Bashundhara Shuvosangho Holds Tree-Plantation Campaign in Patuakhali
নাটোরের ৪০ জন অসচ্ছল নারী পেলো বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছ থেকে সেলাই মেশিন
Bashundhara Shuvosangho Give Forty Sewing Machines to Insolvent Women in Natore