All news

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ

বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৭৫তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। গতকাল ৪৪৩ জন উপকারভোগীর মাঝে ৮০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। সর্বসাধারণের জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন এ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ঋণ শুধু মহিলাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, শাকসবজি চাষসহ ৩২ প্রকার কাজে মহিলারা বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের এ ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে উপকৃত হচ্ছেন।

গতকালের ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই এফসিএস, ডিজিএম মাইমূন কবির, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপকারভোগীর মাঝে প্রথমবারে ১১৩ জনকে ১৫ হাজার করে ১৬ লাখ ৯৫ হাজার, দ্বিতীয়বারে ৬৯ জনকে ১৫ হাজার করে ৮ লাখ ৮৫ হাজার এবং তৃতীয়বারে ২৭১ জনকে ২০ হাজার করে ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এ ঋণের পরিধি প্রথম দিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে পাশের উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে। এম নাসিমুল হাই এফসিএস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘হতদরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করার জন্য সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ চালু করে বসুন্ধরা গ্রুপ। অসহায় অসচ্ছল মানুষ যেন নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সরাসরি নিজের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ধারাবাহিকভাবে মানুষের কল্যাণে এ ঋণ বিতরণ করে চলেছে।’

মধ্যনগর গ্রামের সাহিদা (২৯) বলেন, ‘আমার স্বামীর পাশাপাশি আমিও কিছু কাজ করমু।

 বসুন্ধরার টেহা নিয়া হাঁস-মুরগি পাইল্লা অনেক লাভবান হইছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি বসুন্ধরার মালিকরা যেন ভালো থাকে।’ আসাদনগর গ্রামের বিলকিস বেগম (৪০) বলেন, ‘টেহা নিয়া কৃষিকাজ করব। খাওনের অভাব থাকবে না। আল্লাহর কাছে বসুন্ধরার হগলের লাগি দোয়া করি।’ বাঞ্ছারামপুর গ্রামের মাকসুদা খাতুন (৩২) বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয়বার ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি লালনপালন কইরা অনেক লাভবান হইছি। আগে তো ঠিকমতো খাবার খাইতে পারি নাই। এখন আল্লাহর রহমতে খাবারের চিন্তা নাই। বসুন্ধরার সবাইকে আল্লাহ সুখে শান্তিতে রাখুক।’

SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিন