All news

শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে নারীদের ‍মুখে হাসি

শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে নারীদের ‍মুখে হাসি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চর হামুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের হোসনে আরা স্বর্ণা স্বামী-সন্তান নিয়ে সংগ্রামের পরও লেখাপড়া করে শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তিনমাসের সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে তার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে যখন তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিনামূল্যে সেলাই মেশিন, তখন তিনি আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘এখন আমি সেলাইয়ের কাজ করে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে অনেক ভালো থাকব। একই সাথে লেখাপড়াও চালিয়ে যাব।’
স্বপ্না আক্তার নামে আরেক প্রশিক্ষণার্থী জানান, তিনি এই প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন স্বামীর পাশাপাশি নিজের সংসারে অবদান রাখতে পারবেন।

সাবিনা আক্তার বলেন, ‘আমি ছাত্রী হলেও এই কাজ শেখার পর মনে হয়েছে, আমি অন্যদের চেয়ে আলাদা। কারণ আমি একটি ভালো কাজ শিখেছি।’

স্বর্ণা, স্বপ্না আর সাবিনাদের মতো শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ২০ দরিদ্র নারীকে এগিয়ে যাওয়ার এই স্বপ্ন দেখিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের তিন মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে পাওয়া সেলাই মেশিন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগে হাসি ফুটেছে নারীদের মুখে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে প্রধান অতিথি হিসাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন শাজহালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপি বিভাগের অধ্যপক সৈয়দ মিজবা উদ্দিন।

এসময় বক্তব্য রাখেন জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কলেজের প্রভাষক মো. শাহীন মিয়া, প্রভাষক আরিফুর রহমান, গভর্নিং বডির সদস্য সার্জেন্ট (অব) শাহজাহান মিয়া, অফিস সহকারী রুবেল মিয়া, শুভসংঘ হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জনি আহমেদ রাজু, সাধারণ সম্পাদক আফহজাল হোসাইন রনি, নাছির হোসাইন, সৌরভ মিয়া, শুভসংঘ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি সোহানা সাবরিন জারা, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মিজবা উদ্দিন বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট হাউজ নয় শুধু, তাদের দারিদ্র বিমোচনের কর্মসূচিগুলো ব্যতিক্রম এবং সমাজ পরিবর্তনে অনেক কার্যকর।
সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দরিদ্র নারীরা শুধু স্বাবলম্বীই হবে না, তারা দেশের জিডিপিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ