বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৮৩টি গ্রামে ২৬ হাজার ৩৫০ জন ও নবীনগর উপজেলার তিনটি গ্রামে ১০৪ জন ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ১৫টি গ্রামে ৭০৫ জনকে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ২০০৫ সাল থেকে সুদ, সার্ভিস চার্জ ও জামানতমুক্ত একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেন। গরিব ও অসহায় যারা এ ঋণ নিয়ে থাকেন তাদের প্রথম তিন মাস কোনো কিস্তি দিতে হয় না। তিন মাস পর থেকে তারা সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। তাদের আয় ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনে কর্মরত মাঠকর্মীরা ঋণ গ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা গ্রহণ করে থাকেন।
গতকাল বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৭২তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যেদিন যে স্থানে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ করা হয় শুধু সেদিন ঋণ গ্রহীতাদের উপস্থিত থাকলেই হয়। এ ছাড়া এর আগে-পরে তাদের কোথাও যেতে হয় না। এতে ঋণ গ্রহীতাদের সময় ও অর্থ দুটোই বেঁচে যায়। এ ঋণ নিয়ে তারা সময়োপযোগী ব্যবসা করে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৮৩টি গ্রামে ২৬ হাজার ৩৫০ জন ও নবীনগর উপজেলার তিনটি গ্রামে ১০৪ জন ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ১৫টি গ্রামে ৭০৫ জনকে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবীর, বসুন্ধরা কালের কণ্ঠের শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন আনোয়ার, বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন প্রমুখ। গতকাল ৩০৮ জন হতদরিদ্রের মাঝে ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৩১ জনকে ১৫ হাজার টাকা করে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ২০১ জনকে ১৫ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ধাপে ৭৬ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ঋণ গ্রহীতা বাঞ্ছারামপুর গ্রামের রুবি আক্তার (৪০) বলেন, আমি প্রথমে বসুন্ধরার ঋণ পেয়েছি। এ টাকা দিয়ে হাঁস, মুরগি কিন্না পালমু। এতে আমার লাভ হবে বসুন্ধরা সব মালিকগ লাগি দোয়া করমু।
ছরমরিচাকান্দির ভানু বেগম (৪৮) বলেন, এ টেহা নিয়া গরু পালন করমু আর শাকসবজি চাষ করমু। বসুন্ধরা আমাগরে বিভিন্ন সময় অনেক উপকার করে। তাদের হগলের লাইগা দোয়া করি। সরিষারচর গ্রামের হনুফা বেগম বলেন, এ টেহা দিয়া কৃষিকাজ করমু। এতে আমাগর অনেক লাভ হইব। খাওনের আর কষ্ট থাকব না।
Hospital for Covid-19 Patients at Bashundhara’s ICCB to Open Soon
মীরসরাই এবং কেরানীগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা গ্রুপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০১৩ গলফারদের উৎসব
Dazzling Finish of Bashundhara Cup Golf Tournament 2013
Bashundhara Group Exporting Tissue to 16 Countries
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Girl
Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan Stands by Sick Tasmia
India Willing Partner in Bangladesh Development
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Boy Siraj
Ceremony of Bashundhara Cup Golf