All news

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ-সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ-সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পল্লী ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের অধীন ৭৪তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার হোমনা পৌরসভার হরিপুরে এ ঋণ বিতরণ করা হয়। আয়োজিত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী, এফসিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ শিশু রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন। বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০০৫ সালে থেকে এ পর্যন্ত বসুন্ধরা গ্রুপ ২৭ হাজার ৬৮৬টি পরিবারের মধ্যে সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করে। ২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির কারণে অনেকের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেব ওনার জন্মভূমি বাঞ্ছারামপুরে ২০০৫ সালে সুদ ও  সার্ভিস চার্জমুক্ত এ কর্মসূচি শুরু করেন। এখন দুই জেলার তিনটি উপজেলায় এ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তিনি বলেন, আমরা খুব খুশি এ কারণে যে, এ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি ঋণ খেলাপি হননি। আপনারা সবাই চেয়ারম্যান মহোদয়ের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।  

 

এফসিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত সেবা দিচ্ছে। ঋণ দেওয়ার তিন মাস পর থেকে কিস্তি নেওয়া শুরু হয়। মাঝখানের সময় ঋণগ্রহীতাদের সুবিধার জন্য কোনো কিস্তি আদায় করা হয় না। তিন মাস পর কিস্তি নেওয়া শুরু হয়। মানবকল্যাণে কাজ করাই আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের মূল লক্ষ্য। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বসুন্ধরা গ্রুপ সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ দিচ্ছে। এভাবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলে দেশে আর দারিদ্র্য থাকবে না। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, পল্লী ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মোশাররফ হোসেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. চান্দ মিয়া, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন ও বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান। মঙ্গলবার ৩৪৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়ে। তার মধ্যে প্রথমবার ঋণ নেন ৩৮ জন। বাকিরা দ্বিতীয় বার ঋণ সুবিধা নেন। 



 

হোমনার বাগমারা গ্রামের উপকারভোগী রুমা আক্তার জানান, প্রথমবার ঋণ নিয়ে একটি ছাগল কিনি। এরপর হাঁস-মুরগি পালন শুরু করি। এবার সেলাই মেশিন কিনবো। বসুন্ধরা থেকে সুদমুক্ত ঋণ পেয়ে আমি খুব উপকৃত হয়েছি। হোমনা চরেরগাঁও গ্রামের খোরশেদা বেগম বলেন, আগে আমার স্বামী রূপ মিয়া অন্যের জমিতে খেটে কোনোমতে সংসার চালাতেন। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নিয়ে তিনি কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম তিন মাস কিস্তি দিতে হয় না। আর এ সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে আমাদের সংসার দাঁড়িয়ে যায়। চরেরগাঁও গ্রামের ডলি আক্তার বলেন, আমার স্বামী মাছ ব্যবসায়ী। বসুন্ধরা থেকে ঋণ পেয়ে তার সহযোগী হিসেবে আজ করছি। আমাদের ছয়জনের সংসার বেশ ভালো চলছে।

SOURCE : Banglanews24