দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলেও পড়ালেখায় শতভাগ সফল হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। নানাজনের সহযোগিতা নিয়ে ২০২২ সালে সফলতার সঙ্গে এসএসসি পাস করা শতাধিক শিক্ষার্থীর পরবর্তী পড়ালেখা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমে এই খবরগুলো দেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দেশের বৃহত্তম শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রধান ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের তত্ত্বাবধানে সারা দেশ থেকে শত বাধা পেরিয়ে এসএসসিতে ভালো ফল করা ১০২ জন শিক্ষার্থীকে খুঁজে বের করে বসুন্ধরা শুভসংঘ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ভর্তি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২৫ হাজার করে টাকা তুলে দেন। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি মাসেই বসুন্ধরা শুভসংঘের তত্ত্বাবধানে তাদের বৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে। এবারের এইচএসসিতে এই শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই ভালো ফল অর্জন করেছেন। এখন উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বৃত্তি পেয়ে নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করার অনুভূতি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের সেই অনুভূতিগুলো তুলে ধরে এবারের আয়োজন-
পড়তে পারব কি না ভেবে খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম
মিতা মালো
পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে আমরা তিন বোন। বাবা একজন মৎস্যজীবী। তিনিই পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী। সবার ভরণ-পোষণের পাশাপাশি আমাদের তিন বোনের পড়াশোনার খরচ চালাতে তিনি হিমশিম খান।
এই পরিস্থিতিতে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব কি না দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। অনেক কষ্ট করে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। এরপর আর পড়তে পারব কি না, এটা ভেবে খুবই কষ্ট পাচ্ছিলাম। ভর্তি হতে অনেক টাকা লাগবে।
বই কেনা, আরো অন্যান্য খরচ। কী করব ভেবে যখন দিশাহারা, তখনই বসুন্ধরা গ্রুপ আমার পাশে দাঁড়ায়। ভর্তিসহ অন্য সব খরচ দেয়। প্রতি মাসে বৃত্তি দেয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের এই বৃত্তি পেয়ে আমি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির যাবতীয় খরচ চালিয়ে পড়াশোনা সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছি। ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আজীবন বসুন্ধরা শুভসংঘ ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের পরিবার
মো. ওমর ফারুক মাহিন
আমার বাড়ি নাটোর জেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের কামারদিয়া গ্রামে। দরিদ্র পরিবারের ছেলে আমরা দুই ভাই পড়াশোনা করি।
আমার বাবা একজন বর্গা চাষি ছিলেন। মা-বাবা ও আমরা দুই ভাই মিলে মোটামুটি চলছিল আমাদের পরিবার। হঠাৎ বাবার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন আমার বাবা। সংসার চালানোর ভার পড়ে মায়ের ওপর। হাঁস-মুরগি ও ছাগল পুষে যা আয় হতো, তা দিয়েই কোনোমতে চলত আমাদের সংসার। বাবার চিকিৎসার খরচ ও খাওয়া-পরার খরচ মিটিয়ে আমাদের দুই ভাইকে পড়াশোনা করানো মায়ের পক্ষে অসাধ্য হয়ে পড়েছিল। অনেক কষ্টে পড়া চালিয়ে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাই। টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারব না কলেজে—এটি ভেবে যখনই আমার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম, তখন পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের মাধ্যমে আমার ভর্তির ব্যবস্থা করে তারা। এর পর থেকে তারা পড়াশোনার সব খরচ চালায়। বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতি মাসে টাকা না দিলে আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত।
আমার শিক্ষাজীবন সহজ ও সমৃদ্ধ হয়েছে
লিজা আক্তার
প্রথমেই আমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের উদার অনুদান আমার শিক্ষাজীবনকে সহজ করেছে ,যা কখনোই ভোলার নয়। বসুন্ধরার সাহায্যে আমি আমার শিক্ষা ব্যয় নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পেরেছি। বিশেষ করে আমার পাঠ্য বই, শিক্ষাসামগ্রী এবং পরীক্ষার ফি বহন করা সম্ভব হয়েছে। তারা পাশে না থাকলে এই খরচগুলো বহন করা আমার সম্ভব হতো না। পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যেত। এই অনুদানের কারণে আমি কোনো চাপ ছাড়াই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পেরেছি। বসুন্ধরার সহায়তা শুধু আমার বর্তমান শিক্ষাজীবন নয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার পথও মসৃণ করেছে। আমার লক্ষ্য মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং ডাক্তারি পড়াশোনা শেষ করে একজন সফল চিকিৎসক হয়ে সমাজে অবদান রাখা। তাদের সহায়তা পেয়ে আমার মধ্যে এক ধরনের দায়িত্ববোধ এবং অনুপ্রেরণা তৈরি হয়েছে, যাতে আমি এই লক্ষ্য পূরণে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারি।
যেন আমার নতুন জীবন শুরু হলো
মো. শহিদুল ইসলাম
আমার বাসা চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আব্বা রাজমিস্ত্রির লেবারের কাজ করেন। তাঁর আয়ে আমাদের পরিবার চলে। এসএসসি পরীক্ষার আগেই বুঝতে পারছিলাম আব্বা আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবেন না। তাই পড়ালেখার খরচ নিজেই চালাতে শুরু করি। কখনো রাজমিস্ত্রির হেল্পার, কখনো ধান কাটা, কখনো বা সরিষা মাড়াইয়ের কাজ করি। এগুলো করে টাকা জোগাড় করে এসএসসি পাস করি। জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। কোনো শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে যাইনি অর্থের অভাবে। সবচেয়ে বড় সম্যসার সম্মুখীন হই এইচএসসিতে ভর্তি নিয়ে। এত টাকা পাব কোথায়? কী করে জানি আমার খোঁজ পায় বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা থেকে আমাকে কল করা হলো। আমাকে ভর্তি থেকে শুরু করে বই কেনা, জামা, ব্যাগ কেনার জন্য টাকা দেওয়া হলো। প্রতি মাসে বৃত্তি দিতে থাকল বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমার নতুন জীবন শুরু হলো। এভাবেই প্রতিবছর গরিব অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এই সহায়তা আমাকে পথনির্দেশনা দিয়েছে
মুকাররামা
আমি বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমার এই সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে, বিশেষ করে বসুন্ধরা শুভসংঘের। যখন আমি এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করি, তখন তারা আমাকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার জন্য বৃত্তি দেয়। এই সুযোগটি আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। বৃত্তিটি কেবল অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, বরং এটি আমাকে আত্মবিশ্বাসও দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম যখন পাশে কেউ থাকে, তখন আমাদের সংগ্রামগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার সময় আমি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলাম, কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা আমাকে পথনির্দেশনা দিয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং জানতাম যে এই প্রচেষ্টা কেবল আমার জন্য নয়, বরং তাঁদের জন্যও, যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করতে পেরেছি।
আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে অনেক দোয়া করেছি
আলপিনা আক্তার
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেও আমার পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। বাবা মারা গেছেন। মা বাড়ি বাড়ি চেপা শুঁটকি বিক্রি করেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে এসএসসি পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে পড়িয়েছেন। তারপর মা বলে দিলেন, ‘এত কষ্ট করে আমি আর পড়ালেখা করাইতে পারব না। ’ আমার খুব ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করে আমিও একদিন সফল হব। মায়ের কষ্ট দূর করব। খুব করে কেঁদেছিলাম সেদিন, যখন মা বলেছেন আর পড়াতে পারবেন না। আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে অনেক দোয়া করেছি। আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো এত বড় একটি গ্রুপকে আমার সহায়তার জন্য ঠিক করে দিয়েছেন। এসএসসির পর থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ আমার লেখাপড়ার সব দায়িত্ব নেয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ নিয়মিত আমার খোঁজ নিত। তাদের কারণেই আমি লেখাপড়া করতে পেরেছি। এইচএসসিতেও আমি ভালো ফল নিয়ে পাস করেছি। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
বসুন্ধরা আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে
শান্তি আক্তার
আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ আমি স্বপ্নপূরণের পথে দাঁড়িয়ে আছি। সব কিছুই সম্ভব হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য। বসুন্ধরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে হয়তো স্বপ্নের এত কাছে কখনোই আসতে পারতাম না। আমার পড়াশোনা যখনই বন্ধ হওয়ার উপক্রম, ঠিক তখনই আমার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এসএসসিতে ভালো ফল অর্জনের জন্য বসুন্ধরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত আমার পাশে আছে, যার কারণে এবারও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে উত্তীর্ণ হয়েছি। যদি বসুন্ধরা না থাকত, আমার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হতো না। আমার স্বপ্নগুলো কুঁড়েঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। বসুন্ধরা আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে। এ কারণে আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারছি, যা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন বসুন্ধরা আমার মতো হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি
মোহনা রাণী সূূত্রধর
আমার বাড়ি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষায় সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমি অত্যন্ত গরিব পরিবারের মেয়ে। আমরা দুই বোন। বোন সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোটবেলায় বাবা মারা যান। তখন আমি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তাম। বাবা ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। অনেক কষ্ট করে আমরা পড়াশোনা করেছি। এসএসসিতে ভর্তি হব কিভাবে এই ভেবে যখন দিশাহারা ছিলাম, তখনই আমার পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। ১০২ জন শিক্ষার্থীকে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ডাকা হয়। আমাদের প্রত্যেকের হাতে ভর্তি ও অন্যান্য খরচ বাবদ নগদ ২৫ হাজার করে টাকা তুলে দিলেন অতিথিরা। কথা দিলেন আগামী দুই বছর প্রতি মাসে বৃত্তি দেবেন। কেউ মেডিক্যাল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবেন। তাঁরা কথাও রেখেছেন। প্রতি মাসে আমি টাকা পাই এবং এই বৃত্তি আমার পড়াশোনায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছি
মুক্তা আক্তার
আমার বাবা নেই। নানাবাড়িতে থাকি। তা ছাড়া আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। খালাদের সহযোগিতা নিয়ে এসএসসিতে ভালো ফল করেছিলাম। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই
খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তা আমার নানাবাড়ির লোকজন দিতে পারবে না। ভাবছিলাম, এই বুঝি পড়াশোনা শেষ হলো। তখনই আমার পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। তাদের মাধ্যমে আমাকে কলেজে ভর্তির জন্য এককালীন টাকা দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ। আমি মুরারিচাঁদ কলেজে (এমসি কলেজ, সিলেট) ভর্তি হই। আমাকে বই, ড্রেস, ব্যাগ—এগুলো কেনার টাকাও দেওয়া হয়। প্রতি মাসে দেওয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি। মনে আছে, ২০২৩ সালের কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আগে আমাদের ১০২ জন শিক্ষার্থীকে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি স্যারের বাসায় দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকেই অভিভাবকসহ গিয়েছিলাম। দুপুরে খাইয়ে সবার হাতে যাওয়া-আসার ভাড়া এবং কলেজে ভর্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল।
এইচএসসিতেও ভালো ফল পেয়েছি
শিবলী খাতুন
আমার মা একজন গৃহিণী। প্রথম শ্রেণিতে পড়াকালে আব্বু মারা যান। তার পর থেকে মা অনেক কষ্ট করে আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার পর আম্মু যেমন খুশি হয়েছিলেন, তেমনি দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। মায়ের পক্ষে আমাকে কলেজে ভর্তি করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তখনই মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বসুন্ধরা গ্রুপ আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার সব খোঁজখবর নিয়ে আমাকে কলেজে ভর্তি হওয়া, বই কেনাসহ যাবতীয় খরচ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়। আর প্রতি মাসে দেওয়া বৃত্তির মাধ্যমে আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকি। এবার এইচএসসিতেও আমি খুব ভালো ফল পেয়েছি। এখনো প্রতি মাসে আমি সেই বৃত্তির টাকা পাচ্ছি। ভেবেছিলাম, এইচএসসি পাসের পর হয়তো আর টাকা পাব না। সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে প্রতি মাসেই।
SOURCE : Banglanews24কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা আই হসপিটালের সেবা পেলেন ১২,৫০০ মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provide Free Eye Treatment to 12,500 People in Kushtia
সিলেটে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Sewing Machines in Sylhet
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শত বাধা পেরিয়ে সফল তারা
They Overcame Numerous Hurdles With Bashundhara Group's Support
বগুড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Provides Educational Materials to Students in Bogra
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় বাঞ্ছারামপুরে ৫,৩০০ শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন শরীফ বিতরণ
Bashundhara Gifts Holy Qur’an to 5,300 Students in Bancharampur