মিরসরাই ইকোনমিক জোনের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ পেল বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প সিটি। অবকাঠামো উন্নয়নে ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টিজের সঙ্গে কাজ করবে সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ও গ্যাসমিন লিমিটেড। এজন্য পাওয়ারপ্যাক-ইস্ট ওয়েস্ট-গ্যাসমিন নামে একটি কনসোর্টিয়াম করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘লেটার অব অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে এই কনসোর্টিয়ামকে। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বেজা কর্তৃপক্ষকে পাওয়ারপ্যাক-ইস্ট ওয়েস্ট-গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে লিজ মানি হিসেবে ৪০ কোটি টাকার একটি চেক হস্তান্তর করা হয়। এর আওতায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে পাওয়ারপ্যাক-ইস্ট ওয়েস্ট-গ্যাসমিন কনসোর্টিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৫৫০ একর জমির অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজাইন, নির্মাণ ও পরিচালনা করবে। সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প সিটি গড়ে তুলবে। একই সঙ্গে শিল্প-কারখানায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সংযোগ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণসহ সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে। নির্বাচিতরা চাইলে নিজেরাও সেখানে কারখানা করতে পারবেন। কিংবা অন্য কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে প্লট বিক্রি করতে পারবেন। জমি ব্যবহারের জন্য প্রতি বছর বেজাকে নির্দিষ্ট হারে ফি দিতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আশা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হবে। আর বেজা এসব অঞ্চলে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করবে, যার মাধ্যমে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিরসরাই ইকোনমিক জোনটি তিনটি গ্রুপকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের একটি প্রতিষ্ঠানই এটি করার সক্ষমতা রাখে। তবে কাজটি সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে করতেই কনসোর্টিয়ামকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মিরসরাইয়ে সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পাওয়া যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ইতিমধ্যে গ্যাসের লাইন নির্মাণ শুরু হয়েছে। অন্যান্য কাজও যথাসময়েই হবে। এটি হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু, যার জন্য সরকার সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। তবে তিন গ্রুপের কনসোর্টিয়ামের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা। আশা করি, তারা তা করতে পারবে। এ কোম্পানি তিনটি বিনিয়োগের অগ্রদূত হয়ে থাকবে।’ সভাপতির বক্তব্যে পবন চৌধুরী বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচিত ডেভেলপার প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করলে মূল চুক্তি করা সম্ভব হবে এবং আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের জমি বরাদ্দ দিয়ে উৎপাদনে যওয়া যাবে। বেজা ইতিমধ্যে সুপেয় পানির সরবরাহ লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সংযোগ সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ করেছে। আমরা জাইকা, বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির সঙ্গে কাজ করছি। মিরসরাই হবে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প সিটি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহা. হাবিবুর রহমান। পাওয়ারপ্যাক-ইস্ট ওয়েস্ট-গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুবুর রহমান বলেন, বেজার সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে ২০১৮ সালের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা এতে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেজার নির্বাহী সদস্য ড. এম এমদাদুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মইন উদ্দিন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান, পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার। দর্শকসারিতে উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, হরিপ্রসাদ পাল, বেজার সচিব মোহাম্মদ আইয়ুবসহ সরকারি-বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা।
এদিকে গতকাল একই স্থানে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিতর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বেজা ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর অধীনে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে ১৬ একর জমি প্রদানের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫ মাসের মধ্যে ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৫ কোটি ডলার। বেজার পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আইয়ুব ও বিপিডিসি-আরপিসিএল পাওয়ারজোন লিমিটেডের পক্ষে রুরাল পাওয়ার কোম্পানির এমডি মো. আবদুস সবুর।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনশায়েস্তাগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Food Items Among Underprivileged People in Shayestaganj
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর- পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ আসরের সমাপনী
"Qur'an-er Noor - Powered by Bashundhara" Int'l Hifzul Qur'an Competition Closing Ceremony is Held
সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন অসচ্ছল ২০ নারী
20 Poor Women in Syedpur Receive Sewing Machines from Bashundhara Shuvosangho
Bashundhara Group's Assistance Became a Means of Survival for 20 Women
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা বেঁচে থাকার অবলম্বন পেলেন ২০ নারী
গোবিন্দগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতারসামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Iftar in Gobindaganj