 
                            
                            শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি আরো একটি লক্ষ্য আছে বসুন্ধরা গ্রুপের, তা হলো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের মান উন্নত করা। যে স্বপ্নটা দেখেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (মাঝে)। তিনি নিজে একসময় পূর্ব পাকিস্তান হকি দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁরই জীবন দর্শন উদ্বুদ্ধ করেছে পরবর্তী প্রজন্মকে। তাঁর সুযোগ্য পুত্র ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর (ডানে) দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের। কাল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন আরেক সুযোগ্য পুত্র ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান (বাঁয়ে)। ছবি : মীর ফরিদ তিনি অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায়। দেখছিলেন শেখ জামাল ক্লাবে ছোট ভাইয়ের অভিষেক অনুষ্ঠান। মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন ক্লাবের নতুন সভাপতি সাফওয়ান সোবহানের কথাও। এরপর অতিথির বক্তৃতা দিতে উঠে সায়েম সোবহান আনভীর ঘোষণা দিলেন, ‘শেখ রাসেল আর শেখ জামাল, দুই ভাই। আমরাও দুই ভাই দুই ক্লাবের দায়িত্বে। মাঠে লড়াই হবে, কোনো ছাড়াছাড়ি নাই।’ শেখ রাসেল চেয়ারম্যানের কথা শুনে হাসির রোল উঠল। ছোট ভাইও হাসলেন। হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অন্য রকম চ্যালেঞ্জ, হার না মানা চ্যালেঞ্জ। দুই ক্লাব যেন মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দুই সহোদরকে। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র আর শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব বঙ্গবন্ধুর দুই সন্তানের নামে ক্লাব দুটি নামাঙ্কিত হলেও ঢাকার ফুটবলে তারা প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। একে অন্যকে এক বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয় না। এবার দুই পরাশক্তির প্রধান এক ঘরের মানুষ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো হেরফের হবে না। এমনকি একই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের অংশীদার হয়ে দুজন মাঠের লড়াইয়ের নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে চান। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান শেখ জামালের নতুন সভাপতি হিসেবে অঙ্গীকার করেছেন, ‘শেখ জামাল সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবে। এই ক্লাবের হয়ে সব খেলাতেই আমি শিরোপা জিততে চাই। এই ক্লাবকে নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা আছে।’ তাঁরা মূলত ফুটবলে খুব সিরিয়াস। দেশে তো বটেই, বিদেশের মাটিতে ট্রফি জেতার সুনাম আছে। আগের দুই টানা লিগ শিরোপা জয়ী দলটি গত মৌসুমে দলবদলে পিছিয়ে পড়ায় ধরে রাখতে পারেনি শিরোপা। অন্যদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহানের শেখ রাসেল ভালো দল গড়েও কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি গত মৌসুমে। সুতরাং দুই দলই এবার শিরোপার জন্য মুখিয়ে থাকবে। এ দেশের ফুটবলে পাতানো ম্যাচের প্রাদুর্ভাব আছে। সম্পর্কের উষ্ণতায় সেটা হয়ে থাকে। এক সাংবাদিক পাতানো খেলার প্রশ্ন তুলতেই শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান একদম উড়িয়ে দিয়েছেন সেই শঙ্কা, ‘কোনো সুযোগই নাই। আমি তো আগে থেকেই পাতানো খেলার বিরুদ্ধে বলে আসছি। আমাদের ফুটবলে রেফারি দিয়ে যেসব কাণ্ড হয়, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। নইলে ফুটবলের উন্নতি হবে না।’ দুজন দুই ক্লাবের ব্যানারে থাকলেও তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ফুটবলের উন্নয়ন। তাঁদের বাবা আহমেদ আকবর সোবহানই যে উন্নয়নের মন্ত্র দুই সহোদরের কানে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে দুই ভাইকে দোয়া করছি, তারা যেন ক্লাবে সফল হতে পারে। তারা ক্লাবের প্রধান হলেও দেশের ফুটবলের উন্নতিতে কাজ করতে হবে।’ আসলে দেশের ফুটবলের খুব দৈন্যদশা, মান নামতে নামতে এখন ভুটানেরও নিচে চলে গেছে। বাংলাদেশ কারো বিপক্ষে জিতবে, এমন দল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। একটাই কারণ মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের বড় অভাব দেশে। ক্লাবগুলো ভালো দল গড়তে চাইলেও ওই মানের খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়া যায় না। শেখ জামালের বিদায়ী সভাপতি মনজুর কাদের ফুটবলকে এই দুর্দশায় নামানোর জন্য দায়ী করেছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে, ‘ফিফা থেকে বড় অঙ্কের টাকা আসে। সালাউদ্দিন গংরা এই টাকা ফুটবলের জন্য খরচ করেনি। ফুটবলকে তারা ধ্বংসের কিনারে নিয়ে গেছে।’ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের কাছে ফুটবল উন্নয়নের রাস্তা হলো, ‘৬৪টি জেলায় যেতে হবে। সেখানে ফুটবল আয়োজন করতে হবে, তবেই ফুটবলার বের হবে। ঢাকাকেন্দ্রিক খেলা করে কোনো লাভ হবে না। তা ছাড়া খেলাধুলাটা খুব দরকার বাচ্চাদের জন্য। জঙ্গি বলেন কিংবা অন্য সমস্যা, সব কিছুর সমাধান করতে হলে তরুণসমাজকে ক্রীড়ায় মনোযোগী করে তুলতে হবে।’ এ জন্যই তিনি দুই ছেলেকে দিয়ে ক্রীড়া উন্নয়নের কাজ শুরু করেছেন।
 
                                        
                                        
                                            Hospital for Covid-19 Patients at Bashundhara’s ICCB to Open Soon
 
                                        
                                        
                                            মীরসরাই এবং কেরানীগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ
 
                                        
                                        
                                            বসুন্ধরা গ্রুপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০১৩ গলফারদের উৎসব
 
                                        
                                        
                                            Mock firefighting at Bashundhara City
 
                                        
                                        
                                            Dazzling Finish of Bashundhara Cup Golf Tournament 2013
 
                                        
                                        
                                            Bashundhara Group Brought Change in Housing Sector
 
                                        
                                        
                                            Bashundhara Group Exporting Tissue to 16 Countries
 
                                        
                                        
                                            Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Girl
 
                                        
                                        
                                            Bashundhara Gives Tk 1 Million to Biswajeet’s Family
 
                                        
                                        
                                            Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan Stands by Sick Tasmia