All news

বসুন্ধরার কম্বল পাইছি, 'একুন আর শীত নি ভয় নাইকো'

বসুন্ধরার কম্বল পাইছি, 'একুন আর শীত নি ভয় নাইকো'

কুষ্টিয়ায় রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। দিনব্যাপী কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক-মাঠঘাট সহ চারপাশ। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার এমন অবস্থা।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষের দুর্দশাও বেড়েছে। এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। 
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শুভসংঘের সহযোগীতায় চতুর্থ দিনের মতো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় শীতার্ত অসহায়-দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকায় নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে মাঠে ৫০০ জন অসহায়-দরিদ্র মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

বসুন্ধরার নতুন কম্বল উপহার পেয়ে মহাখুশি তাঁরা।
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাকলী খাতুন, দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সুইটসহ শুভসংঘের সদস্যরা।
 এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল মাঠে ৭০০ অসহায়-দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়ে কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার। কুষ্টিয়া জেলায় ছয় দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রদত্ত কম্বল সাত হাজার অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কনকনে ঠাণ্ডায় কুষ্টিয়ার অসহায় হতদরিদ্র মানুষ কম্বল পেয়ে মহাখুশি হয়েছেন। কম্বল পেয়ে লোকমান মোল্লা বলেন, বৃদ্ধ বয়সে কাজ করতে পারিনা।  আমি বেকার ও গরিব মানুষ। গত কয়েকদিন খুব শীত পড়ছে। টাকার অভাবে কম্বল কিনতে পারিনি।

শীতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। বসুন্ধরার কম্বল পাইছি, 'একুন আর শীত নি ভয় নাইকো'। আমার মতো বহু মানুষ কম্বল পাইছে। আমাদের অনেক উপকার হলো। বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে খুব খুশি লাগছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। 
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দরিদ্র অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। এই শীতে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এ ধরনের ভালো কাজ করে থাকেন। অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেন। এই মহতী উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো সমাজের বিত্তবানদেরও নিজ নিজ অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মহতী উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।  

শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। জেলায় সাত হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিবছর শীতের সময় এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আগামীতেও শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

SOURCE : কালের কণ্ঠ