জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আজকে যদি আমাদের বীরদের কথা আমরা না বলি, যখন দেশের জন্য আত্মত্যাগের সময় আসবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে না। আপনারা ইতিহাসের সূর্যসন্তান, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনাদের আজ সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে আমি ও আমরা সবাই অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’
বিজয়ের মাসে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরল সম্মাননা দেওয়া হয়। গত রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টে জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানানো হয় স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বীর সেনানীদের।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। যারা ১৯৭১ সালে নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন, দেশকে স্বাধীন করতে তারা ছিলেন অকুতভয়, নির্ভীক। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সদস্য এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ক্রেস্টও তুলে দেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে কেকও কাটা হয়।
একাত্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেওয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে পালন করা হয় ২ মিনিট নীরবতা। এই সূর্যসন্তানদের প্রতি জানানো হয় অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘প্রথমেই আমি বিনম্রভাবে শ্রদ্ধা জানাতে চাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যাঁদের বীরত্বপূর্ণ ও নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ৫২ বছর আগে আমাদের এনে দিয়েছিল বহুল আকাক্সিক্ষত বিজয়। তাঁদের অদম্য সাহস, শৌর্য এবং জাতির প্রতি ভালোবাসা এখনো আমাদের সবার হৃদয়ে স্পন্দিত। সেই একই চেতনায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বাংলাদেশের ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সেনাপ্রধান বলেন, ‘তোমাদের ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না’ গানের ভাষায় যে কথাটা বলা হয় আমি সর্বান্তকরণে সেটি বিশ্বাস করি। আমি এটিও বিশ্বাস করি, গুণীর গুণগান না গাইলে গুণী তৈরি হয় না।’ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আজকে যদি আমাদের বীরদের কথা আমরা না বলি, যখন দেশের জন্য আত্মত্যাগের সময় আসবে, ভবিষ্যতের প্রজন্ম অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে না। আপনারা ইতিহাসের সূর্যসন্তান, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনাদের আজ সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে আমি ও আমরা সবাই অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’
গলফ ক্লাবের সদস্য সম্মাননাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জামিলউদ্দীন আহসান (অব.) তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন করেছি অনেক কিছু ত্যাগের বিনিময়ে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য রক্ত দান করেছি। এটা অত্যন্ত মূল্যবান এবং সম্মানের সঙ্গে সবাই বাংলাদেশকে আসীন করেছে। তারুণ্যই সবকিছু অর্জনের মূলমন্ত্র। দেশ স্বাধীনের পর আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তোমরা যদি যুদ্ধে হেরে যেতে তখন কী হতো? আমি বলেছিলাম, আমাদের সামনে কোনো বিকল্প ছিল না। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে হলে যুদ্ধে জিততেই হতো। ’ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘একটা কথা বলতে চাই, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের একটাই ধ্যান-জ্ঞান ছিল- যুদ্ধ, যুদ্ধ, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ জয় করা। সে সময় আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, যুদ্ধে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল, সাহায্য ছিল। বিভিন্নভাবে আমাদের সাহায্য করেছিল।’
জমকালো এ সমাপনী অনুষ্ঠানে এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের সব বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এ সময় পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়সহ সর্বমোট ৬৫৫ জন গলফার অংশ নেন।
জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, পরিচালক ইয়াশা সোবহান, এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন এবং মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও খেলোয়াড়রা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম, নিউজ২৪-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা।
‘আপনারা ইতিহাসের সূর্যসন্তান বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সেনাবাহিনী প্রধান
এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টে জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বীর সেনানীদের। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের মাধ্যমেই আমরা আজকে এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এ বিজয়ের প্রধান কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজকে যদি আমাদের বীরদের কথা আমরা না বলি, যখন দেশের জন্য আত্মত্যাগের সময় আসবে, ভবিষ্যতের প্রজন্ম অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে না। আপনারা ইতিহাসের সূর্যসন্তান, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনাদের আজ সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে আমি ও আমরা সবাই অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’ স্বাধীন বাংলাদেশে খেলাধুলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রশংসা করেন।
‘বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রতিরক্ষা বাহিনী’
আহমেদ আকবর সোবহান, চেয়ারম্যান বসুন্ধরা গ্রুপ
বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পে প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের বেংকুয়েট হলে এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়নের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হয়েছে, সেই সাফল্যের গল্প রচনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’। স্বাধীনতার বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিনম্রভাবে শ্রদ্ধা জানাতে চাই মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যাদের বীরত্বপূর্ণ ও নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে ৫২ বছর আগে এসেছিল বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিজয়। তাদের অদম্য সাহস, শৌর্য জাতির প্রতি ভালোবাসা এখনো আমাদের হৃদয়ে স্পন্দন জাগায়। সেই একই চেতনায় আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’
SOURCE : SHOMOYER KHABOR24Hospital for Covid-19 Patients at Bashundhara’s ICCB to Open Soon
মীরসরাই এবং কেরানীগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা গ্রুপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০১৩ গলফারদের উৎসব
Dazzling Finish of Bashundhara Cup Golf Tournament 2013
Bashundhara Group Exporting Tissue to 16 Countries
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Girl
Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan Stands by Sick Tasmia
India Willing Partner in Bangladesh Development
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Boy Siraj
Ceremony of Bashundhara Cup Golf