All news

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পাঁচ শতাধিক লোককে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ওই উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে স্থাপিত মা আমেনা গফুর চেরিটেবল হাসপাতাল ও বসুন্ধরা আই হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীদেরকে দিনব্যাপী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বী, অপটোমেট্রিষ্ট রুবেল রানাসহ ছয় জনের একটি মেডিকেল টিম বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেন।  

ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আবু তৈয়ব জানান, পাঁচশত রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল।

মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদেরকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
বিনামূল্যে চক্ষুসেবা উপলক্ষে মান্দারপুর গ্রামের প্রয়াত মো. শাহ আলম সরকার স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাড়েরা শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সেলিম মাস্টার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ কসবা উপজেলার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. এ কাইয়ূম সরকার, মান্দারপুর সরকারি বাড়ি তরুণ সংঘের উপদেষ্টা কাউসার সরকার, সংগঠনটির সভাপতি মো. ইসহাক সরকারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

মান্দারপুর গ্রামসহ আশপাশের এবং দূরবর্তী অনেক গ্রাম থেকে নারী-পুরুষেরা চক্ষু চিকিৎসা নিতে আসেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের পাশাপাশি চোখের ছানি অপারেশনের সুযোগ পেয়ে তারা খুশি।

মান্দারপুর গ্রামে স্থাপিত হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ফ্রি চক্ষু চিকিৎসার সার্বিক আয়োজক এম. এ কাইয়ূম সরকার জানান, বছরে কয়েকবার করে তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসার আয়োজন করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে সবচেয়ে বড় সহায়তা করে থাকে ঢাকাস্থ বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল। বসুন্ধরা এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বলে দরিদ্র মানুষেরা তাদের চোখের ছানি ও রেটিনা অপারেশন করাসহ নানা চক্ষু চিকিৎসাসেবা ঘরে বসেই পাচ্ছে।

SOURCE : News 24

More News