All news

বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতারে ব্যাপক উপস্থিতি

বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতারে ব্যাপক উপস্থিতি

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাস জুড়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রোজাদারদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম চলছে। গতকাল রবিবার ২৭তম রোজায় বায়তুল মোকাররমে ইফতারের সময় রোজাদারদের মিলনমেলা দেখা গেছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী এই ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোজাদারের উপস্থিতিতে এই আয়োজন চলমান রেখেছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি।

মুসল্লি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আর মাত্র এক-দুইটা রোজা, এর পরই ঈদ। আমরা রমজানজুড়ে রোজাদারদের খেদমতের চেষ্টা করেছি এবং করছি। তৃতীয়বারের মতো বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ইফতার আয়োজনে মানুষের কমতি নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন।

আমরাও এমন নেক কাজে পাশে থাকছি। ইনশাআল্লাহ সামনেও আমরা এই খেদমত চালিয়ে যেতে পারব।’
মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, ‘কর্মজীবীরা ঢাকা ছেড়েছেন। ইফতারে যাঁরা উপস্থিত হচ্ছেন বেশির ভাগই ছিন্নমূল।

অনেক মধ্যবিত্তও আসছে। মাসজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রিকশাচালক—সব ধরনের মানুষ ইফতারে অংশ নিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে ইফতারে যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সুন্দর ব্যবস্থাপনা করেছেন। পুরো রমজান মাসে এই আয়োজন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তিনি খোঁজ রেখেছেন।’

ইফতারের আগেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বারান্দা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেসরকারি চাকরিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ভবঘুরে, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ইফতারের জন্য সারিবদ্ধভাবে বসেন। প্রতিদিন ইফতারের আগে দোয়া ও মোনাজাতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাবসায়িক উন্নতির ধারা এবং মানবতার জন্য কাজ করে যাওয়া অব্যাহত রাখতে তাওফিক চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিবারের সব সদস্যের নেক হায়াতের জন্য দোয়া করা হয়।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ