করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে ৫০০ বেড বসে গেছে। ২ নম্বর হলে বেড বসানো হয়েছে আগেই। গতকাল বেড বসেছে ট্রেড সেন্টারের একটি অংশে। আজ শুক্রবার আরও ৫০০ বেড বসানোর কথা রয়েছে। পাশাপাশি সাজানো শুরু হয়েছে ফার্নিচার, আগে থেকে তৈরি করে রাখা ডাক্তার, নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফদের কক্ষগুলো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ করতে কাজ চলছে রাতদিন। উল্লেখ্য, কভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে তত দিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর ১৫ দিনের মধ্যে আইসিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১২ এপ্রিল কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। গতকাল নির্মাণাধীন হাসপাতালটির কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, দুটি ব্লকে ৫০০ বেড বসানো হয়ে গেছে। শুক্রবার (আজ) আরও দুটি ব্লকে ৫০০ বেড বসানো হবে বলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, সরকার ও বসুন্ধরা গ্রুপ সমন্ধয় করে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত আসতে পেরে সন্তুষ্ট। কারণ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ১৫০টি পাকা টয়লেট এত কম সময়ে নির্মাণ করা দুরূহ কাজ। আমাদের এই ট্রেড সেন্টারটি প্রস্তুত থাকায় বসুন্ধরা গ্রুপ এত বড় সাপোর্ট দিতে পেরেছে। আমাদের আরও দু-চারটি দিন হয়তো লাগবে। আশা করছি এর মধ্যেই রোগী পরিষেবার জন্য হাসপাতালটি প্রস্তুত থাকবে। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাসপাতাল শতভাগ প্রস্তুত করার পরই রোগী পরিষেবার কাজ শুরু করা যাবে। যেহেতু এখানে ভাইরাস চিকিৎসার কাজ হবে, তাই চিকিৎসা চলাকালে কোনো উন্নয়নকাজ করা যাবে না। আমাদের সব ধরনের মালামাল চলে এসেছে। এখন শুধু অ্যাসেম্বল করার কাজ হচ্ছে। আশা করছি ২৭-২৮ তারিখের ভিতরে কাজ শেষ হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করে দিলে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হবে। এক প্রশ্নের জবাবে আইসিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, এখন আসবাবপত্র, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, এয়ারকন্ডিশনিং ও অন্যান্য পরিষেবার কাজ চলছে। বিশাল এই ট্রেড সেন্টারটির মাঝখানে কোনো কলাম বা দেয়াল নেই। ফলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি ব্লকের সব বেড দেখা দেখা যাবে। চিকিৎসক ও নার্সেরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেক রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এজন্য এ খোলা জায়গাটিকে প্রকৌশলীরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্য হাসপাতালগুলোয় প্রতি ফ্লোর পর্যবেক্ষণ করতে হয়। সেখানে প্রতি ফ্লোরে ২০-৩০টি বেড থাকে। এখানে ব্যাপারটি সে রকম নয়। দুর্যোগের সময় এত দ্রুত এত যত্নসহকারে কাজ করা সম্ভব নয়, যেটা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর করে যাচ্ছে। এখানে যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো খুবই ভালোমানের। দীর্ঘদিন এগুলো ব্যবহার করা যাবে। সরকারের মূল পরিকল্পনা ছিল সেবা দেওয়া, সে পরিকল্পনা অতি শিগগিরই বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। এত বড় একটি জায়গা প্রস্তুত ছিল বলেই বসুন্ধরা গ্রুপ সরকারকে দ্রুত এটা দিতে পেরেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান যেদিন ঘোষণা দিয়েছেন, তার পরদিন থেকেই এখানে কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই। আমাদের দেড় শ কর্মী স্বাস্থ্য অধিদফতর যেভাবে বলছে সেভাবে কাজ করছেন। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা হিসাব-নিকাশ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
বসুন্ধরা গ্রুপের দুই কোম্পানিকে সম্মাননা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
Bashundhara Group’s Units Recognised as Highest Revenue Contributors to Mongla Port
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ
Bashundhara Foundation Distributes Interest-Free Loans in Homna
বসুন্ধরার উদ্যোগে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেলেন ৫ শতাধিক রোগী
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা আই হসপিটালের সেবা পেলেন ১২,৫০০ মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provide Free Eye Treatment to 12,500 People in Kushtia
সিলেটে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Sewing Machines in Sylhet
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শত বাধা পেরিয়ে সফল তারা