রাজধানীর নিউ মার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত নাহিদ হাসান ও মোরসালিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দুই পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নিহতদের স্বজনদের হাতে এই অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। নিউ মার্কেটে দোকানদার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নাহিদ ও মোরসালিন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান। নাহিদ একটি কুরিয়ার সার্ভিস এবং মোরসালিন নিউ মার্কেটের একটি দোকানের কর্মী ছিলেন। দুজনের মৃত্যুতে নাহিদ ও মোরসালিনের পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। গণমাধ্যমে দুই পরিবারকে নিয়ে প্রকাশিত তথ্য জেনে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তাঁদের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বিকেলে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর নিজ বাসভবনে ডেকে দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। নাহিদ হাসানের বাবা মো. নাদিম মিয়ার হাতে তিন লাখ, মা নার্গিসকে তিন লাখ এবং স্ত্রী শিলামনি ও শিলার বাবার হাতে চার লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। মোরসালিনের মা নূরজাহানের হাতে তিন লাখ, স্ত্রী অনি আক্তার মিতুর হাতে দুই সন্তান ও তাঁর জন্য সাত লাখ টাকার চেক তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নিহত নাহিদ হাসানের স্ত্রী শিলামনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকাল ১০টায়ও আমার লগে কথা হইছে। বলছিল অফিস থিকা ফিরা আমারে নিয়া মার্কেটে যাইবো। আর ফিরা আইলো না। আমরা নাহিদকে তো আর ফিরা পামু না। কিন্তু আজ মনে হইছে, মইরা গিয়াও সে আমাগো ভবিষ্যৎ ঠিক কইরা দিয়া গেছে। এই সহায়তা পাইয়া এখন বাঁইচা থাকার স্বপ্ন দেখতাছি। ’ আর্থিক সহায়তার চেক হাতে নিয়ে কান্না চেপে রাখতে পারেননি প্রিয়জন হারানো পরিবার দুটির সদস্যরা। মোরসালিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে হাবিব হামজার বয়স সাড়ে তিন বছর। আর মেয়ে হুমায়রা ইসলাম লামহা (৭) কামরাঙ্গীর চরের একটি মাদরাসায় পড়ছে। ঘটনার দিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় লামহা তার বাবাকে বলেছিল, তার জন্য আকাশি রঙের একটি ঈদের জামা নিয়ে আসতে। মোরসালিনের স্ত্রী অনি আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েটা এখনো রাতে বাবাকে খোঁজে। ও জানে না ওর বাবা আর ফিরে আসবে না। এখনো বাবা ঈদের জামা নিয়ে আসবে বলে ভাবে সে। কিভাবে বলি তার বাবা দুনিয়াতে নেই। তারে মেরে ফেলা হয়েছে। ’ মোরসালিনের মা নূরজাহান বলেন, ‘আমার পোলাডারে যারা মেরে ফেলছে তাগো বিচার আল্লাহ করব। দুনিয়াতেও যেন তাগো বিচার দেখতে পারি। আমার বুকে (হার্ট) রোগ আছে। প্রতি মাসে দুই-আড়াই হাজার টাকার ওষুধ লাগে। আমার পোলা কত কষ্ট করে সেই টাকা জোগাইতো। আমারে অনেক ভালোবাসত। এই টাকা দিয়া বাকি পোলাটার লাইগা কিছু করে দিমু। ’ মোরসালিনের শ্বশুর মকবুল বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে আমার মেয়েটার জন্য তাঁর ভবিষ্যতের জন্য কিছু একটা করব। হয়তো তারে কয়েকটা সেলাই মেশিন কিনে দিব, যাতে দুইটা বাচ্চা নিয়ে চলতে পারে। ’ নাহিদের মা নার্গিস বলেন, ‘পোলাডারে তো আর ফিরা পামু না। যত দিন দুনিয়ায় আছিলো তত দিন আমাগো কথাই চিন্তা করছে। এমন বিপদের সময় কাউরে পাশে পাইতেছিলাম না। মইরা গিয়াও আমাগো পাশেই আছে নাহিদ। ’ পাশে থাকা নাহিদের বাবা নাদিম হোসেন বলেন, ‘পুতুলের মতো পোলাডারে মাটিতে রাইখা আসলাম। আমার বাজানরে আমি মরার আগ পর্যন্ত ভুলতে পারমু না। ’ তিনি বলেন, ‘ছেলেহারা আমার অসহায় পরিবারের পাশে কেউ ছিল না। এখন এই টাকা দিয়া ভালো কিছু করার চেষ্টা করমু। ’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও নিউজ২৪-এর নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা।
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials Among Orphans and Underprivileged Students in Durgapur
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার
Thousands of Families Self-Reliant with Bashundhara Foundation's Interest-Free Loans
ভোলা নৈশ ও দিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ