স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই হস্তান্তর বসুন্ধরা হাসপাতাল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপেক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় অপেক্ষমান আছে বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই হস্তান্তর করে দেওয়া হবে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) প্রাঙ্গণে নির্মিত এই হাসপাতাল।
রোববার (৩ মার্চ) আইসিসিবিতে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমাদের সব কাজ শেষ আপনারা জানেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৪ মে হাসপাতালটি চালু হওয়ার বিষয়ে একটি আনঅফিসিয়াল তারিখ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগামীকাল তারা এটি শুরু করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। তবুও আমরা শুনেছি তারা জরুরিভিত্তিতে এখানে লোকবল পোস্টিং দেওয়ার চেষ্টা করছে। কথা বলছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন। ছবি: শাকিল আহমেদকবে নাগাদ হস্তান্তর হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা হস্তান্তরের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমাদের পেপার ওয়ার্কসও সম্পন্ন। তারা বুঝে নিতে চাইলেই আমরা বুঝিয়ে দিতে পারব। হাসপাতালের জন্য নিয়োগকৃত তাদের একজন পরিচালক শনিবার (২ মে) এখানে কিছু সময় অফিস করেছেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হচ্ছে না।
এদিকে হাসপাতাল হস্তান্তরের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মাসুদুল আলম।
তিনি বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এত বড় একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা সত্যিই দারুণ একটি ব্যাপার। শুধু আমাদের দেশ না দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও এটা বড় একটা ঘটনা। এটা আমাদের সক্ষমতাকে তুলে ধরে। হাসপাতালটি বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা এক প্রকার বুঝেই নিয়েছি। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই তাদের বুঝিয়ে দেবো। বসুন্ধরা করোনা হাসপাতালএদিকে রোববার সকাল থেকে হাসপাতালে যোগদান দিতে কয়েকজন চিকিৎসককে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আসতে দেখা যায়। তবে তাদের গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কাউকে দেখা যায়নি।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, মাত্র একদিনের নোটিশে আমার সাবেক কর্মস্থল থেকে এখানে এসে যোগ দিতে বলা হয়। এখানে এসে কাউকে পেলাম না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলাম। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করবো।