স্বাধীনতা কাপ কাবাডিতে কুড়িগ্রাম চ্যাম্পিয়ন

শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী বসুন্ধরা গ্রুপ স্বাধীনতা কাপ কাবাডি। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা। গতকাল শহীদ তাজউদ্দীন ইনডোর স্টেডিয়ামে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হতে কুড়িগ্রাম ফাইনালে ৫৮-৩৬ পয়েন্টে হারিয়েছে মাদারীপুরকে। কুড়িগ্রাম ৩টি লোনা পেয়েছে এবং মাদারীপুর লোনা পেয়েছে একটি। চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ও সেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ও সভাপতি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-১) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ফারুক রিজভি ও এম এম জসিম উদ্দিন, হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দিনের প্রথম সেমিফাইনালে মাদারীপুর মাত্র ৬ পয়েন্টের ব্যবধানে হারায় খুলনাকে। ৩ লোনাসহ মাদারীপুরের পয়েন্ট ছিল ৫৩ এবং ১ লোনাসহ খুলনার পয়েন্ট ছিল ৪৭। দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি ছিল আরও উত্তেজনাপূর্ণ। কুড়িগ্রাম মাত্র ৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হারায় সিলেটকে। কুড়িগ্রামের পয়েন্ট ১ লোনাসহ ৩৯ এবং সিলেটের পয়েন্ট এক লোনাসহ ৩৫। চ্যাম্পিয়ন হয়ে কুড়িগ্রাম পেয়েছে ১ লাখ টাকা। রানার্স আপ মাদারীপুর পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ১৫ হাজার করে টাকা পেয়েছে দুই সেমিফাইনালিস্ট খুলনা ও সিলেট। ‘প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমান ৫ হাজার, রেইডার অব দ্য টুর্নামেন্ট মাদারীপুরের নাসির ৫ হাজার, ‘ক্যাচার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ রবিউল ৫ হাজার টাকা ও ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় কুড়িগ্রামের আল-আমিন পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা। আট দলের টুর্নামেন্টটির আয়োজক বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ছিল অ্যাডটাচ। টুর্নামেন্টের বাকি চার দল ময়মনিসংহ, বগুড়া, বরিশাল ও চট্টগ্রাম।