শেখ রাসেল রানার্সআপ

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের মূল আকর্ষণ শেষ বেশ আগেই। শেখ জামাল ধানমন্ডি চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। তবু লিগে কালকের দিনটি একটু রোমাঞ্চের আভাস দিয়েছিল। কিন্তু কোনো রোমাঞ্চই ছিল না মাঠে। প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার পল এমিলির হ্যাটট্রিকে রহমতগঞ্জকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শেখ রাসেল হাতে তুলেছে রানার্সআপ ট্রফি। এরপর ফ্লাডলাইটের আলোয় আবাহনী-মোহামেডান গুরুত্বহীন ম্যাচটা জয়ের মালা পরায়নি কাউকেই।
দুই প্রধানের গোলশূন্য এই লড়াইয়ে আসলে বলার মতো কিছুই ঘটেনি। হাতে গোনা কিছু দর্শকের উপস্থিতিতে নিরুত্তাপ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারির সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকল মাঠের খেলাতেও। গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী একটু গা-ঝাড়া দিয়ে কয়েকবার আক্রমণ করেছে বটে, কিন্তু খেলা ছিল নৈপুণ্যহীন। ম্যাচটাও তাই ম্যাড়মেড়ে লাগল।
এই ম্যাচ দিয়ে কাল লিগ শেষ করল মোহামেডান। শেখ রাসেলও ইতি টেনেছে লিগ-যাত্রায়। ২০ ম্যাচে রাসেলের পয়েন্ট ৪২, মোহামেডানে ৩৮। ১৯ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনীর শেষ ম্যাচ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের সঙ্গে। ওই ম্যাচটা দুই গোলের ব্যবধানে জিতলে মোহামেডানকে চারে রেখে আবাহনী তৃতীয় হবে গোলগড়ে, আর ড্র করলে মোহামেডানই তৃতীয়। তৃতীয় বা চতুর্থ যাই হোক না কেন, তরুণ একটা দল নিয়ে বেশ ভালোই করেছে তারা লিগে। বড় বাজেটের দল গড়েও আবাহনীর জন্য তিন বা চারে থাকা তো ব্যর্থতা।
দাপুটে শেখ জামালের কারণে এবারের লিগে বাকিরা লড়াই করল রানার্সআপ হওয়ার জন্য। তাতে ‘জিতল’ শেখ রাসেল। এর আগে পেশাদার লিগে চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল রানার্সআপ এই প্রথম। এটা তাদের জন্যও একধরনের ব্যর্থতা। এমিলি, জাহিদ, হেমন্ত, মিঠুনদের মোটা অঙ্কের টাকায় কিনে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন তাদের সফল হলো না।
তবে কাল রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে রাসেল খেলোয়াড়দের আনন্দ প্রকাশ, ‘ফটোসেশন’ ইত্যাদি বলে দিচ্ছিল দ্বিতীয় হতে পেরেই তারা খুশি। একটু বেশিই খুশি ছিলেন যেন অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী। ৪২ মিনিটে তাঁর গোলেই কাল প্রথম এগিয়ে যাওয়া রাসেলের হয়ে ৫৭, ৬২, ৭০ মিনিটে টানা তিন গোল করেন পল। চলতি লিগে এটি নবম হ্যাটট্রিক। শেখ রাসেলের কোনো খেলোয়াড়ের এই লিগে প্রথম!