শুরু হলো পথচলা

‘নিরপেক্ষ নই, জনগণের পক্ষে’—এই স্লোগানে সব সময় সত্য প্রকাশের প্রত্যয় ঘোষণা করে যাত্রা শুরু করল ২৪ ঘণ্টা সংবাদভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘নিউজটোয়েন্টিফোর’। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১ মিনিটে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডসংলগ্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এই টিভি চ্যানেলটির।
একঝাঁক প্রতিভাবান সাংবাদিক, টেকনিশিয়ান ও আন্তর্জাতিক মানের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে ‘নিউজটোয়েন্টিফোরে’র আনুষ্ঠানিক যাত্রালগ্নের উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও নিউজটোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এই টিভি চ্যানেলকে সমৃদ্ধির পথে এগোতে থাকা বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে ও দেশের মানুষের পক্ষে নতুন কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে আহ্বান জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা। উদ্যোক্তারাও সহমত পোষণ করে আগামীর বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সব সময় পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ রাজনীতিক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, মিডিয়া জগৎ প্রভাবশালী। মিডিয়ার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়, পেছানোও যায়। পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের মধ্যে এ দেশের জন্ম হয়নি। এ দেশের জন্ম হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে; তাতে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই সাড়া দিয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশে রাস্তাঘাট বলতে কিছুই ছিল না। বঙ্গবন্ধু জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচি দিতে চেয়েছিলেন। সেই কর্মসূচি দেওয়ার আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তারপর আসে ২০০৯ সালে। তাতে মানুষের আশা বেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। শুধু নেতিবাচক সংবাদ নয়, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংবাদও গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য টানা ৮-১০ দিন দেখানো হয়। কিন্তু নারী শ্রমিকরা যে কাজ করছে তার দৃশ্য তো দেখানো হয় না। দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে নিজের ভাবমূর্তিও জড়িত। ৮০ লাখ নারী গার্মেন্টে কাজ করে। তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও মিডিয়ার কাজ।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের সবাই তাতে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। মিডিয়ার দায়িত্ব তা তুলে ধরা। দেশের সাহিত্য, ঐতিহ্য, কৃষ্টি যাতে ছেলেমেয়েরা ধারণ করতে পারে তার জন্য কাজ করতে হবে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের দুটি প্রিন্ট মিডিয়া যেভাবে জাতীয় চিন্তা-চেতনার সঙ্গে সংগতি রেখে এগিয়েছে, নতুন চ্যানেলও সেভাবে এগোবে বলে আশা করছি। সত্য শক্তভাবে প্রচার হোক, দেশের সত্যিকার ভাবমূর্তি প্রস্ফুটিত হোক।’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংবাদভিত্তিক বেসরকারি চ্যানেলটি আজ পরিপূর্ণভাবে যাত্রা শুরু করল। নতুন একটি পথে অগ্রসর হতে শুরু করল। প্রধানমন্ত্রী অনেক বেসরকারি টেলিভিশনের পারমিশন দিয়েছেন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। এ দেশ স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিল। যারা এ দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল তারাই বলেছে বিষয়টি বিস্ময়কর। সর্বশেষ রপ্তানি আয় ৩৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতিও চমৎকার। ভারতের কৌশিক বসু এ দেশে এসে বলেছিলেন, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে মডেল। হলি আর্টিজানে বেকারিতে যা ঘটেছে, শ্যামলীর কাছে যা ঘটল তা বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র নয়। আমরা স্বাধীন তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করি। নতুন যোগ হচ্ছে ‘নিউজটোয়েন্টিফোর’। বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে তা বৈশ্বিক। তাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটবে না। সব সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। যেখানে পাকিস্তানের রপ্তানি আয় ২১ বিলিয়ন ডলার, সেখানে আমাদের ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য কোনো মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই চ্যানেলের শুভযাত্রা হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশনের বিকাশ শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই। ১৯৯৭ সালে এটিএন বাংলা ছিল প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন। পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা আরো চ্যানেলের অনুমোদন দেন। অনেকে বলে, বেসরকারি টেলিভিশনের এত লাইসেন্স কেন দেওয়া হচ্ছে? আমি বলি ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৬ কোটি ভাবনা আছে। পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের আছে বিচিত্র স্বপ্ন। আমি মনে করি, চাহিদা পূরণের জন্য এসবের প্রয়োজন আছে। সন্দেহ ছিল সব চ্যানেল টিকবে কি না। এখন তো দেখি সব চ্যানেল ভালোভাবেই টিকে আছে। ‘নিউজটোয়েন্টিফোর’র যে টিম কাজ করতে যাচ্ছে তারা দাপটের সঙ্গেই কাজ করবে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি কাচের ঘর তৈরি করেছে। কাচের ঘর থাকবে আরো স্বচ্ছভাবে। কাচের ঘরে শিশু-নারীর নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গি উৎপাতের সম্মুখীন হয়েছে দেশ। সাইবার অপরাধও হচ্ছে। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এসবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করবে নতুন চ্যানেল। দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথে খবর দেবেন, উৎসাহ দেবেন, প্রেরণা দেবেন।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল ‘নিউজটোয়েন্টিফোর’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। জনগণের সেবা, দেশের সেবা, দেশের উন্নতির জন্য যা যা কিছু করা দরকার, তা যেন করতে পারে এই মিডিয়া তার জন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘ব্যবসা আমাদের প্রধান। এখন প্রশ্ন হলো, কেন আমরা মিডিয়ায় এলাম। আমরা দেশটাকে আরো অনেক সমৃদ্ধিশালী ও সুন্দর করতে চাই। দেশ দৌড়াচ্ছে। আমি নিশ্চিত, এই দৌড়ানো কেউ বন্ধ করতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাব।’
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘নিউজটোয়েন্টিফোর-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যিনি আমাদের এই স্যাটেলাইট চ্যানেলটি করার পারমিশন দিয়েছেন, লাইসেন্স দিয়েছেন।’
বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রমী উল্লেখ করে বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটু আগে কথা হচ্ছিল, বাংলাদেশে ৮০ লাখ নারী কাজ করেন, তাঁরা স্বাবলম্বী। তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।’
আহমেদ আকবর সোবহান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপভুক্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর (কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম, ডেইলি সান ও নিউজটোয়েন্টিফোর) ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি বাংলাদেশটাকে পজিটিভভাবে তুলে ধরতে। আমাদের মিডিয়ার মাধ্যমে বিদেশের মানুষ যেন মনে করেন, এ দেশ পজিটিভভাবে চলছে।’
তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাপানি কয়েকজন এসেছিলেন এখানে। তাঁরা বলেন, এ দেশ চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা ১০ বিঘা জমির ওপর গ্রিন সিটি নামে একটি শহর করবেন। এত কিছুর পরও তাঁরা ভীতসন্ত্রস্ত হননি। তো, দিস ইজ এ সামথিং। সারা দুনিয়াতেই এটা হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের পড়ে থাকলে হবে না। থেমে থাকলে হবে না, বিনিয়োগ করতে হবে।’ পজিটিভ ও শিল্পায়নের বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা কামনা করেন বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান।
তিনি কাজের ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তিন দিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। যেকোনো একটা ব্যবসায়িক সমস্যা নিয়ে। বাণিজ্যমন্ত্রী আমার সমস্যা বুঝতেই দেননি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটা সমাধান করলেন। ফোন করলেন বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ আরো কয়েকজনকে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। আশা করা যায়, এখানে দুই-তিন কোটি মানুষ কাজ করবেন। আমি নিজেও দুইটার পারমিশন পেয়েছি। তাতে ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’
তিনি নতুন চ্যানেল ‘নিউজটোয়েন্টিফোরে’র জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, ‘মানুষের সেবা, জনগণের সেবা, দেশের সেবা, দেশের উন্নতির জন্য যা যা কিছু করা দরকার, তা যেন করতে পারে আমাদের মিডিয়া।’
নিউজটোয়েন্টিফোরের সিইও এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে সবচেয়ে বড় গ্রুপ হচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। পথ চলে সবাই। কিন্তু পথ দেখায় কেউ কেউ। নতুন স্বাপ্নিক যাত্রার মধ্য দিয়ে কালের কণ্ঠ সফল জাতীয় দৈনিক। বাংলাদেশ প্রতিদিন সার্কুলেশনের দিক দিয়ে এক নম্বরে। ডেইলি সান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম—এসব মিডিয়ার সঙ্গে এবার যোগ হলো চ্যানেল নিউজটোয়েন্টিফোর। তারপর যোগ হবে রেডিও ক্যাপিটাল। প্রতিটি মিডিয়া যেভাবে সাফল্য অর্জন করেছে আগামীর পথে নিউজটোয়েন্টিফোরও যাতে সে সাফল্য অর্জন করতে পারে সে জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই টেলিভিশনে আধুনিক প্রযুক্তির সমাহার ঘটিয়েছি। স্টুডিও, নিউজ রুম—সব কিছুই আন্তর্জাতিক মানের। বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। এই চেতনা ধারণ করে পজিটিভ বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আমরা তুলে ধরব। বাংলাদেশ ও বাংলাকে আমরা নতুনভাবে চেনাব।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. সাঈদ খোকন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরউদ্দিন, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজনীতিক মঈনুদ্দিন খান বাদল, অধ্যাপক অপু উকিল, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিশিষ্ট আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, শিল্পী আবিদা সুলতানা, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ডেইলি সান সম্পাদক জামিলুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা।
চ্যানেলটির কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর সামিয়া রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ‘নিউজটোয়েন্টিফোর’কে শুভেচ্ছা জানানো হয়।