রানার্স-আপেই খুশি শেখ রাসেলের ফুটবলাররা

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র মৌসুমের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়লেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তাদের রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। গতকাল রবিবার প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ খেলায় শেখ রাসেল ৪-০ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে রানার্স-আপ হয়।
ক্লাবটির কর্মকর্তারা বিপুল পারিশ্রমিকে এমিলি, মিঠুন, জাহিদ, ওয়ালী ফয়সাল, হেমন্ত ভিনসেন্ট, রেজা, তপু বর্মনদের নিয়ে এসে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গঠন করেছিলেন; কিন্তু এই ফুটবলাররা শিরোপা এনে দিতে পারেননি। জাতীয় দলের আট/দশ জন ফুটবলার আছেন দলটিতে। বাড়তি পারিশ্রমিকের পাশাপাশি ক্লাব থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা জোগানোর পরও শেখ রাসেলকে লিগ রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। জাতীয় দলে খেলছেন কিংবা খেলেছেন, এমন খেলোয়াড়রা রানার্স-আপ হওয়ায় মাঠে উল্লাস করেছেন। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় দলের বড় কর্মকর্তারা যখন হতাশায় নিমজ্জিত সেসময়ে রানার্স-আপ ট্রফি হাতেই সন্তুষ্ট এইসব খেলোয়াড়।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন হলে তাদেরকে মাঠেই ট্রফি তুলে দেয়া হয়েছিল। লিগ রানার্স-আপ শেখ রাসেলকেও ট্রফি দেয়া হয়েছে মাঠেই। লিগ রানার্স-আপ হওয়ার জন্য শেখ রাসেলের প্রয়োজন ছিল তিন পয়েন্ট। ম্যাচ বাকি ছিল একটা। গতকাল প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতে শেখ রাসেল ২০ খেলায় ৪২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করলো। দলটি ১৩ জয়ের বিপরীতে তিনটিতে ড্র ও চারটি পরাস্ত হয়।
রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৪১ মিনিটে অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরী গোল করেন ১-০। দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করেন ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার পলএমিল ৪-০। পলের ১০ গোল এবং লিগের নবম হ্যাটট্রিক এটি। শেখ রাসেল প্রথম পর্বে ২০ ও দ্বিতীয় পর্বে ২২ পয়েন্ট পেয়েছে। প্রথম পর্বে শেখ রাসেল হারিয়েছিল আবাহনীকে আর দ্বিতীয় পর্বে এসে আবাহনীর কাছে ৫ গোল হজম করে। লিগের মাঝ পথে শেখ রাসেল কোচ পরিবর্তন করে। মন্টেনেগ্রের কোচ সরিয়ে দিয়ে শেখ জামাল থেকে বাদ পড়া কোচ মারুফুল হককে নেয়া হয়েছিল। এটিকে ভুল সিদ্ধান্ত মনে করছেন ক্লাবের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী। তার মতে- প্রথম পর্বের চেয়ে দ্বিতীয় পর্বে দলটা ব্যালান্সড ছিল। কারণ প্রথম পর্বে বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহটা ভালো হয়নি। যারা ছিলেন তারা ইনজুরিতে কাটিয়েছেন, যেটা ফিরতি পর্বে ছিল না। তিনি বলেন, ‘শেখ জামাল দলের প্রতি যে পরিশ্রমটা দিয়েছে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, আমাদের খেলোয়াড়রা কোনো অংশে সেটা কম ভোগ করেনি। তারপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারলাম না। আমি বলবো- সবাই তো চ্যাম্পিয়ন হবে না। আমরা রানার্স-আপ হলেও লড়াইটা তো হাড্ডাহাড্ডি হয়নি। এখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের মধ্যে যদি এক বা দুই পয়েন্ট ব্যবধান হতো তাহলে সান্ত্বনা থাকতো। শেখ জামালের চেয়ে আমাদের পয়েন্ট ব্যবধান অনেক বেশি, এই মুহূর্তে আট পয়েন্ট। শেখ জামালের আরেকটা খেলা রয়ে গেছে।’ তার শেষ কথা, ‘সাফল্য আসলো না এটাই আমাদের বড় ব্যর্থতা।’