মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনে শীর্ষে বসুন্ধরা পেপার

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস দেশের দুই পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক ও লেনদেন কমলেও মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড (বিপিএমএল)। দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপারের লেনদেন শুরু হয়েছে গত সোমবার। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও গতকাল মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীর আগ্রহের শীর্ষে ছিল কম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার কম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৭ টাকা বা ২০.৬৪ শতাংশ। ১৩০ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও কম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৮.১০ টাকা। ৪৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা অন্যান্য কম্পানির চেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ও লেনদেনে পতন ঘটেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছিল ৮৩ পয়েন্ট।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেন শুরুতে শেয়ার কেনার চাপ থাকলেও পরে হ্রাস পেয়েছে। দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২৭৩ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৯৪ পয়েন্ট ও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৪০ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১৯৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩ কম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার। ইউনাইটেড পাওয়ার, আরএসআরএম স্টিল, মুন্নু সিরামিকস, লিগেসি ফুটওয়্যার, আজিজ পাইপস, ড্রাগন সোয়েটার, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রি, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও ফার্মা এইড।
মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার, আরএকে সিরামিকস, তসরীফা ইন্ডাস্ট্রি, লিগেসি ফুটওয়্যার, ড্রাগন সোয়েটার, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, আজিজ পাইপস, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড, রিজেন্ট টেক্স ও এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্স।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, এটলাস বাংলা, মডার্ন ডায়িং, উসমানিয়া গ্লাস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, তাক্কাফুল ইনস্যুরেন্স, অ্যাম্বি ফার্মা, বিডি ল্যাম্পস ও মুন্নু সিরামিকস।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সূচক কমেছিল ১০১ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৩৮ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, দাম কমেছে ১৩৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩ কম্পানির শেয়ারের দাম।