বসুন্ধরা সিটির ঈদ শপিং স্ক্র্যাচ কার্ড ‘বাজিমাত’ উদ্বোধন

আর কদিন পরই ঝলমলে আলোয় সাজবে দেশের সেরা শপিং মল বসুন্ধরা সিটি প্রাঙ্গণ।
ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বসুন্ধরা সিটির লোভনীয় অফার হিসেবে ঈদ শপিং স্ক্র্যাচ কার্ড ‘বাজিমাত’ ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল বসুন্ধরা সিটিতে গতকাল সোমবার রাতে। এটি বসুন্ধরা সিটির ২৩তম আয়োজন। ক্রেতাদের শপিংয়ে অনেক বেশি আগ্রহী করে তুলতে বসুন্ধরা সিটি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ‘বাজিমাত’ অফারের উদ্বোধন করা হয়।
মনোজ্ঞ ও ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা সিটির ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল আলীম। উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেলস মার্কেটিং প্রধান এম এম জসীম উদ্দীন, বসুন্ধরা সিটির অ্যাডমিন এবং মানবসম্পদ বিভাগের জিএম মেজর (অব.) মোল্লা মুস্তাক রেজা এবং বসুন্ধরা সিটির ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড মার্কেটিং জিএম আসিফ ফেরদৌস। আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ।
উদ্বোধনকালে শেখ আব্দুল আলীম বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারও স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতাদের আমরা বাড়তি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ক্রেতারা এমনিতেই বসুন্ধরা সিটিতে শপিং করতে আগ্রহী। আমরা ক্রেতাদের এই আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে দিতে বাড়তি পাওনা হিসেবে প্রতি বছরই স্ক্র্যাচ কার্ডের অফার দিয়ে থাকি। এ বছর এক হাজার টাকার পণ্য কিনলেই একটি স্ক্র্যাচ কার্ড দেওয়া হবে। কার্ডটি ঘষলেই ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বাজিমাত করার সুযোগ।’
তিনি আরো বলেন, মোট এক লাখ ৩০ হাজারের এক বিশাল গিফট সম্ভার এবারের স্ক্র্যাচ কার্ড প্রোগ্রামে রাখা হয়েছে। ঈদ-পরবর্তী সময়ে মেগা পুরস্কার বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। আগামী ৩ মে থেকে শপিংয়ের ওপর কার্যকর হবে এই স্ক্র্যাচ কার্ড।
তিনি আরো বলেন, দেশের সেরা এই শপিং মলটিতে এবার দেড় কোটির বেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে আশা করা যায়।
একটি প্রাইভেট কার, ছয়টি মোটরসাইকেল (ইয়ামাহা), থাইল্যান্ড ভ্রমণ (যুগল), হাতঘড়ি, ফ্রিজ (মিনিস্টার), এলইডি টিভি (৩২ ইঞ্চি), ডায়মন্ড রিং, স্মার্ট ফোন, ব্লেন্ডার মেশিন, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক আয়রন, কফি মগ, ২,০৫০ টাকার টগি ওয়ার্ল্ড গিফট কুপন, বসুন্ধরা টিস্যু ভ্যালু প্যাক, বসুন্ধরা ফুড ভ্যালু প্যাক, বসুন্ধরা নুডলস ও ১০০ টাকা মূল্যের প্রাইজ বন্ডসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে দেশের সেরা এই শপিং মলটি নিজেদের সফলতা, সুনাম ও সমৃদ্ধির রেকর্ড নিজেরাই ভাঙবে বলে মনে করেন বসুন্ধরা সিটির সংশ্লিষ্টরা।