বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসা বসুন্ধরা পেপার মিলসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। বসুন্ধরা কনভেনশন মিলনায়তনে ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে ৯ গুণেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানি সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অফ প্রাইস ৮০ টাকায় ইলিজিবল ইনভেস্টরদের (ইআই) কাছে আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করে বসুন্ধরা পেপার। কোম্পানিটির ১০০টি শেয়ারে লট ধরা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতি লটে সাত হাজার ২০০ টাকা দিয়ে এ শেয়ারের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে দুই কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কাট অফ প্রাইস বা ৮০ টাকা দরে এক কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছে ১২৫ কোটি টাকায় ইস্যু করা হবে। বাকি এক কোটি চার লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার কাট অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে ৭২ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০০ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়।
এর আগে আইপিওর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে ২০১৬ সালের ৩০ জুন রোড শোর আয়োজন করে বসুন্ধরা পেপার। পরে ২০১৭ সালের আগস্টে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। বিডিংয়ের মাধ্যমে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের পর গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় বিনিয়োগকারীদের কাছে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির প্রসপেক্টাসে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, স্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৩৫ কোটি, ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬০ কোটি এবং বাকি পাঁচ কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয়নির্বাহে খরচ করবে বসুন্ধরা পেপার। ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানিটির ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক দশমিক ৪৬ টাকা। সম্পদ মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩০ দশমিক ৪৯ টাকা।