বসুন্ধরা গ্রুপ পাচ্ছে দুটি এসইজেড

দুটি বেসরকারি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) নির্মাণের প্রাক্-যোগ্যতা লাইসেন্স পাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ‘বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ ও ‘ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ নামের ওই এসইজেড দুটি হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আজ বৃহস্পতিবার বসুন্ধরাকে প্রাক্-যোগ্যতা লাইসেন্স দেবে। সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স দেওয়ার পর শর্ত পূরণ হলে তাদের পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স দেওয়া হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করতে চায় সরকার। বেজা এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ৮টি এসইজেডের প্রাক্-যোগ্যতা লাইসেন্স দিয়েছে। বসুন্ধরার দুটি যোগ হলে এ সংখ্যা হবে ১০।
বসুন্ধরার প্রস্তাবিত জোন দুটি হবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে। এর মধ্যে বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোনের প্রস্তাবিত আয়তন প্রায় ২২৩ একর ও ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোনের আয়তন প্রায় ২১৯ একর। দুটির মোট আয়তন হবে ৪৪২ একর।
বেজায় দেওয়া প্রস্তাবে বসুন্ধরা উল্লেখ করেছে, দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রধান বিনিয়োগকারী ইস্ট-ওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের নামে ইতিমধ্যে ২৭৮ একর জমি কেনা আছে। বাকি ১৬৪ একর জমি কেনা প্রক্রিয়াধীন। নিয়ম অনুসারে ইস্ট-ওয়েস্ট প্রোপার্টির নামে কেনা জমি ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোনের নামে চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর অথবা ব্যবহারের অনুমতির কাজ সম্পাদন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বসুন্ধরার প্রস্তাবে।
এ দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের জন্য প্রায় ৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে বেজাকে জানিয়েছে বসুন্ধরা। এ টাকা তারা নিজস্ব উৎস এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করবে বলে তাদের প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে।
বসুন্ধরার প্রস্তাব অনুযায়ী, দুটি এসইজেডে প্রায় ৪০ হাজার কর্মসংস্থান হবে এবং উৎপাদিত পণ্যের প্রায় অর্ধেক রপ্তানি ও অর্ধেক দেশে বিক্রির আশা তাদের। এ এসইজেডে তেল পরিশোধনাগার, গ্যাস সিলিন্ডার তৈরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সিরামিক, ওষুধ, চামড়া, জাহাজ, ইস্পাত, কাগজ, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্পের বিনিয়োগ আনা এবং হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিং মল, হোটেল, আদর্শ মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা তাদের লক্ষ্য।
বসুন্ধরা এসইজেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বসুন্ধরার এসইজেড হবে আন্তর্জাতিক মানের ও পরিবেশসম্মত। যত দ্রুত সম্ভব এর অবকাঠামো উন্নয়নকাজ শেষ করা হবে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে একে বিনিয়োগ-উপযোগী করে তুলতে চাই।’ এসইজেড দুটিতে বসুন্ধরার নিজস্ব শিল্পকারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাকারী প্রতিষ্ঠান সেখানে আয়ের ওপর ১২ বছর কর রেয়াত পায়। অন্যদিকে সেখানে বিনিয়োগকারীরা ১০ বছর কর রেয়াত পায়।