ট্রেনের ধাক্কায় বসুন্ধরার আইটি কর্মকর্তাসহ নিহত ২

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গতকাল বুধবার ট্রেনে কাটা পড়ে জুলকার নাইন আসজাদী (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ‘পি-ওয়ান’ প্রকল্পে ‘গেম আর্টিস্ট’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া গতকাল সকাল ১০টার দিকে খিলগাঁওয়ে লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে জাহিদ (৫৫) নামের আরেক ব্যক্তি নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে তিনি কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। এ সময় জুলকার নাইন হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। কমলাপুর থেকে টঙ্গীর দিকে যাওয়া একটি ট্রেন তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়েন। এতে তাঁর মাথায় বড় ধরনের জখম হয়। তিনি পথচারীদের সহায়তায় জুলকার নাইনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে ঢাকা রেলওয়ে থানার পুলিশের সদস্যরা তাঁকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান।
সোহাগ জানান, তিনি পুলিশের সহায়তায় জুলকার নাইনের স্বজনদের খবর দেন। এরপর তারা ঢাকা মেডিক্যালে যায়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে জুলকারকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। তবে ওই হাসপাতালে পৌঁছার আগেই দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। স্কয়ার হাসপাতালে জুলকার নাইনকে সোয়া ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সহকর্মীরা জানান, জুলকার নাইনের বাবা এইচ এম বাহালুল করিম একজন আইনজীবী। তিনি পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের বাসায় থাকতেন। গতকাল সকালে তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাস থেকে নেমে তিনি দ্রুত রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জুলকার নাইন তাঁর কর্মক্ষেত্রে সবার পছন্দের ছিলেন। খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার শেরে বাংলা রোডে জুলকার নাইনের বাড়ি। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জুলকার নাইন আসজাদীর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। দাফনের জন্য লাশ খুলনায় গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।