ঈদের আগে খুলছে না বসুন্ধরা-যমুনা ফিউচার পার্ক দোটানায় নিউমার্কেট

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও আগামী ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রমজানে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বড় দুটি শপিংমলের এমন সিদ্ধান্তের পর দোকান খোলা নিয়ে দোটানায় পড়েছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরাও। বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ
আকবর সোবহান শপিংমলটি না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কেনাকাটার জন্য আসেন। ঈদের আগে ভিড় আরও বেড়ে যায়। দেশের এই মহাসংকটের সময় আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না।
যমুনা ফিউচার পার্কের মালিক-কর্তৃপক্ষ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, সাধারণ সময়ের তুলনায় ঈদে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে। তাই ঝুঁকি এড়াতে কুড়িলের কাছে অবস্থিত এই মলটি না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেকান খোলার বিষয়ে দোটানায় রয়েছে রাজধানীর অন্যতম মার্কেট ‘ঢাকা নিউমার্কেট’-এর ব্যবসায়ীরাও। এ বিষয়ে ঢাকা নিউমার্কেট সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম জানান, মার্কেট খোলা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মার্কেটের নির্বাহী কমিটির আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ক্রেতাদের; সর্বোপরি দেশের ক্ষতি হয়Ñ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না কমিটির সদস্যরা।
আমিনুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দোকানদাররা; কিন্তু আমরা তো কোনো সেক্টর থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। তাই রুটি-রুজির জন্য আমরা রাজি হয়েছিলাম; কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মার্কেট খুলে দিলে আমরাই বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ব। এ ছাড়া এ পরিস্থিতিতে বেচাকেনা হওয়ার সম্ভাবনাও কম। আমাদের দোকানের সব কর্মচারীও দেশের বাড়ি চলে গেছেন। সবমিলিয়ে ব্যবসায়ীরাও দ্বিধায় রয়েছেন দোকান খোলা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে খোলার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।